আজকে আপনাদের মাঝে যে জিনিস টি নিয়ে টিউন করব তাহল অপারেটর , ভেরিয়েবল,
ডাটা টাইপ।
প্রথমেই জেনে নেই ভেরিয়েবল কি জিনিস। সাধারণত যে কোন সংখা বা মান বা কোন কিছু ধরে রাখার জন্য যে ধারক্টি ব্যবহাঁর করা হয় তাকে প্রোগ্রামিং এর ভাষায় ভেরিয়েবল বলে।ভেরিয়েবল যেকোন কিছু হতে পারে যে কোন নাম,বর্ণ যে কোন কিছু। কিন্তু কিছু জিনিস হতে পারবে না। যেমনঃ
১) ভেরিয়েবল এর নাম কখনই কোন সংখা দিয়ে শুরু হতে পারবে না। যেমনঃ
1ad,2_54 ইত্যাদি গ্রহন যোগ্য নয়।
যেমন আপনি চাইলেই ভেরিয়েবল হিসাবে if,for ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন না কারন এগুলো জাভার কিওয়ার্ড।
এবার আসুন জেনে নেই ডেটাটাইপ কি জিনিস। ডেটাটাইপ বলতে বুঝায় আপনার ডাটা টা কেমন হবে,মানে ডাটা টা কি কোন ডেসিমেল(DECIMAL) নাম্বার হবে নাকি কোন দশমিক সংখা হবে নাকি Character টাইপ ডাটা হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। জাভা তে বেশ কয়েক প্রকার ডাটা টাইপ রয়েছে নিচে বিস্তারিত দেওয়া হল।
বাইট(byte): বাইট
টাইপ ডাটা ৮ বিট ডাটা বহন করতে পারে। এই টাইপের ডাটার সর্বচ্চ মান ১২৭ এবং সর্ব নিম্ন মান
-১২৮।
শর্ট(short): এটি
১৬ বিটের ডাটা। এর সর্বচ্চ মান ৩২৭৬৭ এবং সর্বনিম্ন মান
-৩২৭৬৮।
ইন্টেজার(integer): সংহ্মেপে
একে int লেখা হয়। এর ধারন হ্মমতা সর্বচ্চ ২,১৪৭,৪৮৩,৬৪৭ এবং সর্ব নিম্ন -২১৪৭৪৮৩৬৪৮। এটি ৩২ বিটের ডাটা।
লং(long): এটি
৬৪ বিটের ডাটা।
উপরের ৪
টি ডাটা টাইপ ই
শুধু ডেসিমেল নাম্বার ধারন এর কাজে আসে।এর দশমিক
ভিত্তিক সঙ্খা
ধারন করতে পারেনা।
ফ্লট(float): এরা
দশমিক সংখা ধারন করতে পারে। এরা ৩২ বিট ডাটা টাইপ।
ডাবল(double): এরা
৬৪ বিট ডাটা টাইপ। এরাও এরা দশমিক সংখা ধারন করতে পারে ।
বুলিয়ান(boolean): এরা
শুধু ২
ধরনের ডাটা ধরে রাখতে পারে। হয়
“true ” অথবা “false” ।
কেরেক্টার(char): এটি
কারেক্টর টাইপ ডাটা ধারণ করতে পারে।
স্ট্রিং(string): এরা
আস্ত একটা বাক্য ধারন করতে পারে।
এখন জেনে নেই অপারেটর বলতে কি বুঝায়। যেকোন প্রোগ্রামিং ভাসায় অপারেটর বলতে বুঝায় “+” ,“–“, “*”,“/”,”%” কে। এছাড়াও আরো কিছু অপারেটর আছে।
“+” একে বলে Plus operator এটি যোগ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
“-” একে বলে Minus operator
এটি বিয়োগ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
“*” একে বলে Multiplication
operator এটি গুন করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
“/” একে বলে Divide operator এটি ভাগ করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
“%” একে বলে Modulus
operator এটি ভাগশেস বের করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
উপরের সব গুলো অপেরেটর কে বাইনারি অপেরেটর বলা হয়।
এছারাও আরও অনেক ধরনের অপেরেটর রয়েছে যেমন ইউনারি অপেরেটরঃ
“++”
Increment operator; increments a value by 1
“--“
Decrement operator; decrement a value by 1
“!”
Logical complement operator; inverts the value
of a boolean
এছাড়াও রয়েছে রিলেশনাল অপেরেটর।
“==”
equal to
“!=”
not equal to
“>”
greater than
“>=”
greater than or equal to
“<”
less than
“<=”
less than or equal to
এই ছিল মোটা মুটি ডাটা টাইপ এবং অপেরটর
গুলো এখন আসুন এইগুলো কিভাবে ব্যবহার করবেন তার জন্য কয়েকটি
প্রোগ্রাম দেখি।
প্রথমেই আপনার
Eclipse Software টি চালু করুন। আগের পর্বের দেখানোর মত একটি প্রজেক্ট ওপেন করুন এবং একটি ক্লাস তৈরি করুন।
প্রথমেই আমি আপনাদের ভেরিয়েবল
, ডেটা টাইপ
,এবং অপেরেটর এর ব্যসিক একটি প্রোগ্রাম দেখাবো। নিচের প্রোগ্রামটি দেখুন।
এইখানে প্রথমে
int টাইপের ৩
টি ভেরিয়েবল ডিক্লায়ার করা হয়েছে। তারপর
“=” অপেরেটর এর সাহায্যে X এবং
y এর মান বসানো হয়েছে। পরের লাইনে
x,y এর যোগফল
“=” অপেরেটর এর সাহায্যে z এ
বসানো হয়েছে। তারপর Z এর মান System.out.println(z); এর সাহায্যে অউতপুট করা হয়েছে। পরের লাইন গুলোতে আরো কিছু Arithmetic operation করানো হুয়েছে।
পরের এই প্রোগ্রামটি ইউনারি অপেরেটর এর কাজ দেখানো হয়েছে।
এখন আপনাদের চর্চার জন্য কয়েকটি প্রব্লেম দিচ্ছি। এইগুলো অবশ্যই চর্চা করবেনঃ
১) ৬,৭,৮
এর যোগ,এবং গুনফল প্রদর্শন করুন। আওউটপুট টা যাতে দেখতে এমন হয়ঃ
Sum is 21 .
Multiplication result is 336.
২) নিজের ইচ্ছা মত কয়েকটি ভেরিয়েবল ডিক্লায়ার করেন তারপর তাদের উপর
+,-,*,/,%,++,-- অপেরেশন গুলো চালান।
আজ এ
পর্যন্তই।সবাই ভাল থাকবেন এবং ভাল মত চর্চা করবেন।